tag:blogger.com,1999:blog-77721152613757171872024-03-12T19:07:55.375-07:00দাম্পত্য টিপস দাম্পত্য জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর করার আয়োজন নিয়ে কিছু আলাপAbdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.comBlogger37125tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-63304242809404560942020-03-21T18:59:00.000-07:002016-02-21T05:00:26.927-08:00যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে--<br />
<br />
১)
<b>খারাপ ব্যবহার করা :</b> তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত
হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা
আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।<br />
<br />
২) <b>উপেক্ষা করা :</b> তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না
ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না।
বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ
ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।<br />
<br />
৩) <b>মিথ্যা বলা :</b> কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ
করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা
আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।<br />
<br />
৪) <b>কথা দিয়ে
কথা না রাখা : </b>কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু'মিনের
বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।<br />
<br />
৫) <b>এড়িয়ে চলা :</b> অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে
ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি
লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।<br />
<br />
৬)
<b>সন্দেহ ও গীবত করা : </b>কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস
করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত
করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ
কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই
সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো
ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।<br />
<br />
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :<br />
<br />
"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা
থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো
না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা
মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর।
আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" -- [আল হুজুরাত,
৪৯ : ১২]<br />
<br />
৭) <b>খুব বেশি ব্যস্ততা :</b> অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক
কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য
রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই
বিষয়টি খেয়াল রাখুন।<br />
<br />
৮) <b>নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা :</b> যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না
করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি
সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে
না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে
অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।<br />
<br />
আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-20389372574782817182019-03-21T19:03:00.000-07:002014-03-21T19:19:43.239-07:00স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেন <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
জীবনসঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী
যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি
ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। একজন সফল ব্যক্তির পাশে
থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী। সৎ এবং
চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন
অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো
--<br />
<br />
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে
দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য
আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম।"<br />
<br />
২) তার
জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয়
জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন।
সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।<br />
<br />
৩)
স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট
রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি
দেয়ার চেষ্টা করেন। <br />
<br />
৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে
কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি
ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে
গেছে।<br />
<br />
৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং
তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা
করেন। <br />
<br />
৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর
সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি
ব্যবহার করেন।<br />
<br />
৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর
সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না।
যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে
এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।<br />
<br />
৮) তার
স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু
এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।<br />
<br />
৯)
জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ
আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।<br />
<br />
১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।<br />
<br />
১১)
শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে।
ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের
অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে
সচেতন দৃষ্টি রাখেন।<br />
<br />
১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে
সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন
এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ
সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের
ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-80229534017980812652018-03-21T19:04:00.000-07:002014-03-21T19:20:14.267-07:00স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
আমরা
জানি,আমাদের মাঝে সে ব্যক্তি ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ
ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানান
উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে
উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো -- </div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
১) স্ত্রীর প্রতি তিনি সুন্দর ব্যবহার করেন। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। তার প্রতি তিনি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকেন। </div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
২) জীবনসঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো তিনি অবহেলা করেন না, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করেন।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৩)
বাইরে নানান কাজে থাকলেও অন্য কোন মহিলার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হন না।
দৃষ্টিকে সংযত রাখেন, হৃদয়েকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সতর্ক রাখেন।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৪) নিজে ইসলাম শিখেন নিয়মিত, স্ত্রীকে নিয়ে শিখেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন। দু'জনে মিলে ইসলামকে পালনের চেষ্টা করেন।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৫) জীবনসঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি শক্ত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকেন।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৬)
যদি তার স্ত্রী কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত
রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন স্ত্রী হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট
দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৭)
জীবনসঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে
উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন। </div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৮) ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতন সাহায্য করেন। তার জন্য কাজ ফেলে রেখে দেন না।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
৯)
সন্তানদেরকে ইসলামিক জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন।
সন্তানদের ইসলামিকভাবে বড় করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাপ করে স্ত্রীর সাথে।
বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন
থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।</div>
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<br /></div>
১০)
কোন কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু'জনে আলাদা হন না, স্ত্রী
বাইরে যাবার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেন। মাঝে-মাঝেই দু'জনে মিলে
ঘুরতে যান যেন স্ত্রী কিছুটা সময় তার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের
সম্পর্ককে প্রগাঢ় করবে।</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-26769417333541596082014-11-02T01:05:00.000-08:002014-11-02T01:06:27.764-08:00দাম্পত্য জীবনের সমস্যাগুলো যাকে তাকে বলে বেড়াবেন না<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">প্রতিটি দম্পতি তাদের বিবাহিত জীবনে কখনো না কখনো বিভিন্ন মাত্রার টানা-পোড়েনের মুখোমুখি হয়। দয়া করে দাম্পত্য জীবনের সমস্যাগুলো যাকে তাকে বলে বেড়াবেন না। এই কাজটা একেবারেই করবেন না, এটা অন্যায়। নিজের প্রতি অন্যায় এবং আপনার স্বামী/স্ত্রীর প্রতি অন্যায়। সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ আজওয়াজাল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বর্ণনা করার সময় বলেছেন, "তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ"। মনে রাখবেন, পোশাক আমাদেরকে আরাম, স্বস্তি ও পরিতৃপ্তি দেয়ার পাশাপাশি আমাদের দৈহিক ত্রুটি বা দুর্বলতাগুলোকেও ঢেকে রাখে!<br><br>হয়ত আপনি আপনার স্বামী/স্ত্রীর উপর যে কোন কারনেই হোক অসন্তুষ্ট বা হতাশ। যদি এমন হয় যে দুজন মিলে কোনভাবেই সেই সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না। তাহলে বিশ্বাসী, অভিজ্ঞ এবং ঘনিষ্ঠ কাউকে একান্তে, গোপনে আপনার সমস্যা খুলে বলুন। এবং নিশ্চিত করুন যেন সেই ব্যক্তি এই ঘটনাটি সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। <br><br>কোন একটা সমস্যা হলো, সাথে সাথে স্মার্টফোন দিয়ে ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস পোস্ট করে বসলেন। এটা কোন 'স্মার্ট কাজ' না বরং 'ডাম্ব কাজ' হলো। এই ধরনের আচরণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন আপনি নিজে! কারণ, ধীরে ধীরে মানুষ আপনার উপর থেকে শ্রদ্ধা হারাবে। আপনার এই ধরনের স্ট্যাটাস দেখে লোকে মনে মনে বলবে, "কি ধরনের ছেলে/মেয়ে এটা? নিজের স্ত্রী/স্বামী সম্পর্কে এইসব লেখে? ছিঃ!" আপনি হয়ত এই ধরনের স্ট্যাটাস পোস্ট করে লোকের সহানুভূতি চাইছেন, কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে সহানুভূতির বদলে আপনি নিজের মর্যাদা হারাবেন। কিছু কিছু মানুষ পাবেন যারা আপনাকে 'আপু'/ 'ভাইয়া' সম্বোধন করে সস্তা কিছু মন্তব্য করবে, কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে আপনার সমস্যার আগুনে ঘি ঢালবে! <br><br>আপনার বৈবাহিক জীবনের নিভৃত কথাগুলো যথাসম্ভব নিজেদের ভেতর সীমাবদ্ধ রাখুন। দয়া করে এটাকে পাবলিক স্পেকটাকলে পরিণত করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবেন না<br><br></div>-- সেফাত মাহজাবিন</div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-56916003968736591422014-09-29T03:23:00.000-07:002014-09-29T03:24:18.627-07:00জীবন হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ জিনিস এবং ত্রুটিপূর্ণ মানুষের সমষ্টি<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">[ড. এ পি জে আব্দুল কালামের জীবন থেকে নেয়া]<br><br>"যখন আমি ছোট ছিলাম, আমার মা আমাদের জন্য রান্না করতেন। তিনি সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করার পর রাতের খাবার তৈরি করতেন। এক রাতে তিনি বাবাকে এক প্লেট সবজি আর একেবারে পুড়ে যাওয়া রুটি খেতে দিলেন। আমি অপেক্ষা করছিলাম বাবার প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটা দেখার জন্য। কিন্তু বাবা চুপচাপ রুটিটা খেয়ে নিলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন স্কুলে আমার আজকের দিনটা কেমন গেছে।<br><br>আমার মনে নেই বাবাকে সেদিন আমি কি উত্তর দিয়েছিলাম কিন্তু এটা মনে আছে যে, মা পোড়া রুটি খেতে দেয়ার জন্য বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এর উত্তরে বাবা মা'কে যা বলেছিলেন সেটা আমি কোনদিন ভুলব না। বাবা বললেন, 'প্রিয়তমা, পোড়া রুটিই আমার পছন্দ'। পরবর্তীতে সেদিন রাতে আমি যখন বাবাকে শুভরাত্রি বলে চুমু খেতে গিয়েছিলাম তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তিনি কি আসলেই পোড়া রুটিটা পছন্দ করেছিলেন কিনা। বাবা আমাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, "তোমার মা আজ সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং তিনি অনেক ক্লান্ত ছিলেন। তাছাড়া একটা পোড়া রুটি খেয়ে মানুষ কষ্ট পায় না বরং মানুষ কষ্ট পায় কর্কশ ও নিষ্ঠুর কথায়। জেনে রেখো, জীবন হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ জিনিস এবং ত্রুটিপূর্ণ মানুষের সমষ্টি।"<br><br>আমি কোনক্ষেত্রেই সেরা না বরং খুব কম ক্ষেত্রেই ভাল বলা যায়। এ জীবনে আমি যা শিখেছি সেটা হচ্ছে, আমাদের একে অপরের ভুলগুলোকে মেনে নিতে হবে এবং সম্পর্কগুলোকে উপভোগ করতে হবে। জীবন খুবই ছোট; প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অনুতপ্ত বোধ করার কোন মানেই হয় না। যে মানুষগুলো তোমাকে যথার্থ মূল্যায়ন করে তাদের ভালোবাসো আর যারা তোমাকে মূল্যায়ন করে না তাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হও।"<br><br>[হিল্লোল হায়াতুল হকের অনুবাদ, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]<br></div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-13466747034229262002014-05-22T07:08:00.001-07:002014-05-22T07:08:58.136-07:00মাঝে মাঝে সম্পর্কটাতে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসতে হয়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">মাঝে মাঝে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কটাতে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসতে হয়। ছোট ছোট কিছু কাজ আপনাদের মাঝে ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দিবে, নতুন আবেগের জোয়ার নিয়ে আসবে। ধরুন আপনার হয়ত অনেকদিন আপনার জীবনসঙ্গীকে চিঠি লেখা হয় না। ছোট্ট কয়েকটি লাইনের একটা চিরকুট লিখে রাখুন --হতে পারে তার প্রতি আপনার আবেগের কথা, অথবা কোন ভুল করে ফেললে সেইটার স্বীকারোক্তি আর ক্ষমাপ্রার্থনার কথা। অনেকসময় এমনিতেই লিখতে পারেন। দু'টি লাইন লিখে রাখুন, এরপর একটু বুদ্ধি করে তার হাতে পৌঁছে দিন। এমনভাবে দেবেন, যেন এটি আপনাদের দু'জনের মাঝেই থাকে--আর কেউ দেখতে বা বুঝতে না পারে। চিরকুট লেখার বা দেয়ার মতন উপায় না থাকলে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে দিন। আপনার নাম্বার থেকে কয়েকটা শব্দ লিখে পাঠিয়ে দিন, যেই শব্দগুলো হয়ত আপনার আবেগ বয়ে নিয়ে যাবে আপনার প্রিয়জনের কাছে, আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে -- যা পড়ে তিনি বুঝবেন আপনি এখনো তার কাছে এমন একজন যা তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট্ট অনুভূতিটা আপনি তাকে দিলে দেখবেন বিনিময়ে আপনি আরো বেশি ভালোবাসা ফিরে পাবেন। আর হ্যাঁ, আমাদের হৃদয়গুলোতে ভালোবাসা তৈরি করে দেয়ার মালিক আল্লাহ। তিনি গাফুরুল ওয়াদুদ, প্রেমময় ও ক্ষমাশীল। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আপনাদের মাঝে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেন, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আপনাদের পবিত্র সম্পর্কটিকে রক্ষা করেন। <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-60558972329265408142014-05-20T21:52:00.000-07:002014-05-20T21:53:01.375-07:00দু'জনার আবেগের দুরত্ব যখন বিপদের কারণ<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">অনেক সংসারের অস্বাস্থ্যকর দাম্পত্য জীবন এবং সেইসূত্রে ভাঙ্গন পর্যন্ত হয় যার সূচনায় থাকে মূলত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথোপকথন না হওয়া, দু'জনার মাঝে বন্ধুত্ব না থাকা। দু'জন কথাবার্তার তেমন কোন উপলক্ষ খুঁজে পান না কিংবা যখন আলাপ করে আনন্দ অনুভব করেন না তখনই এমন সমস্যার সূত্রপাত হয়। <br> <br></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">সমস্যাটি একদিনে তৈরি হয় না। ক্রমাগত হতে হতে বড় আকার ধারণ করে। এই সমস্যা নিরসনে আপনার উচিত প্রতিদিন কিছু কাজ করা। প্রতিদিন একটু একটু করে সঙ্গীকে বিশেষ সময় দেয়া, তার সাথে আবেগ ভাগাভাগি করে নেয়া। একটু দুরত্ব সৃষ্টি হতে দিলে সেটা অনেক বড় দুরত্ব তৈরি করে দেয় কিছুকাল পরেই।<br> <br>দু'জনার সম্পর্কে আপনার প্রতিদিনের কিছু 'investment' আপনাকে বিশাল 'profit' এনে দিবে। তাই, অন্তত কিছু কাজ করুন যা হবে আপনাদের মাঝে একটি বন্ধুত্ব সৃষ্টিকারী, আনন্দময় কথোপকথনের একটি কারণ। প্রেমময় ও ক্ষমাশীল আল্লাহ আমাদের সংসারগুলোতে বারাকাহ দিন, সেগুলোকে শান্তিময়তায় ভরিয়ে দিন...<br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-61093272448790867312014-05-19T03:23:00.000-07:002014-05-19T03:24:24.738-07:00স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ক্লান্তি ও বিরক্তি যখন আসে<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">বিয়ের পর থেকেই আপনার অস্তিত্বের সাথে আরেকটা মানুষ জুড়ে রয় প্রায় প্রতিটি মূহুর্তেই। উপস্থিতিতেই থাকুন বা অলক্ষ্যেই থাকুন অপরজন আপনার সত্ত্বার সাথে মিশেই থাকেন। স্বামী-স্ত্রী হওয়া এই দু'জন মানব-মানবী পরস্পরের পরিপূরক। একজন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যতই অসাধারণ হন না কেন, সৃষ্টিগতভাবে তার যেই সীমাবদ্ধতাগুলো, সেগুলোকে ঢেকে রাখেন সেই প্রিয়জনটি, তিনি আপনার শারীরিক-মানসিক-আত্মিক অভাবগুলোকে মেটাতে সাহায্যকারী হবার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু তবুও, মাঝে মাঝে সম্পর্কটির অনেক কিছুর কথা ভেবেই নিজেকে যেন অনেক ক্লান্ত মনে হয়। মনে হতে পারে-- এত সব কষ্ট, এত আবেগ আর পরিশ্রম আমার কি বিফলে যাচ্ছে? এরকম ক্লান্ত-শ্রান্ত হওয়া অনুভূতিগুলোকে ভুল বুঝবেন না, এটা মানবিক। তবে এরকম ক্লান্তির সাথে ভর করে শয়তান কাজ করবে আপনার উপরে। দাম্পত্য জীবনটাকে নিপুণ জীবন ধরে নিবেন না দয়া করে। এই জীবনটা গড়ে নেয়ার, দু'জনে মিলে গড়ে তোলার।<br> <br>জীবনসঙ্গীর জন্য আপনি ক্রমাগত অনেক পরিশ্রম করেন...আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বামী/স্ত্রীর জন্য যে কষ্টটুকু,খরচটুকু আপনি করেন তার উত্তম প্রতিদান আল্লাহ নিশ্চয়ই দিবেন। কিন্তু তাই বলে মানসিক বা শারীরিক টায়ার্ডনেসের ফলে অপরজনের উপরে বিরক্তি বা নিজেদের সংসার বা সম্পর্কের উপরে বিরক্ত যদি হয়ে পড়েন--তাহলে মনে রাখবেন আপনি শয়তানের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। মনে রাখবেন, এই মন এবং শরীরের স্রষ্টা যিনি--তার কাছেই শক্তি চাইতে হবে। আপনার স্বামী/স্ত্রীও দুর্বল;তিনিও একজন ভুলত্রুটি মেশানো একজন মানুষ। সম্পর্ককে তাজা রাখতে তাই আপনার নিজেরও তাজা থাকা প্রয়োজন। অনেকসময় আপনার নিঃশব্দ আলিঙ্গনটুকু আপনার জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীকে অনেকখানি আশ্বস্ত করে, শক্তিশালী করে। সম্ভব হলে এই কাজটুকু কেন করবেন না?<br> <br>যখন পরিশ্রান্ত লাগবে, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনার অন্তরকে, শরীরকে, মনকে উদ্দীপ্ত করে দেন। দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের দু'জনকে দু'জনার চক্ষুশীতলকারী সঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সাবধান থাকবেন। স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে শয়তান একেকজনকে হতাশ করে দেয়, যা আরো অনেক পাপকাজের সূচনা করে। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কগুলোকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও খারাপ মানুষের হিংসা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ তো প্রেমময় ও ক্ষমাশীল।</div> </div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-84214303674932130002014-05-15T01:37:00.000-07:002014-05-15T01:38:00.443-07:00একই প্রাণ, একই আত্মা কেবলই গল্প-উপন্যাস -মুভির বিষয়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">যখন আপনার স্বামী/স্ত্রীর সাথে আপনার মতপার্থক্য হবে, বুঝবেন এটাই স্বাভাবিক। দু'জন মানুষের মাঝে খুব বেশি মিল থাকা সম্ভব হয় না কখনো। একই প্রাণ, একই আত্মা -- এইসব কেবলই গল্প-উপন্যাস -মুভির বিষয়। বাস্তব জীবনে আপনাদের অতীত আলাদা, আপনাদের চিন্তার ধরণ আলাদা, আপনাদের শৈশব-কৈশোর আলাদা। এই ভিন্নতার পরেও দু'জনে দু'জনার খুব কাছের মানুষ কেননা আপনারা দু'জনে একসাথে হয়েছিলেন দুইজনের সত্ত্বা হারিয়ে এক হয়ে মিশে যেতে নয়, বরং দু'জন পাশাপাশি একটি অভিন্ন লক্ষ্যে যাত্রা করতে। আর জান্নাতে যাওয়ার সেই প্রচেষ্টা মৃত্যু পর্যন্ত আপনি ছেড়ে দিবেন না নিজের স্বার্থেই, তাইনা? স্বামী-স্ত্রী দু'জনের কিছু ভিন্নতা কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে ভারসাম্য তৈরি করে দেয়। মনোমালিন্য হলে সেই দুরত্বটুকুকে জোড়া লাগাতে উদ্যোগ নিয়ে ফেলুন। নিজে থেকে সমস্যা সমাধান করতে প্রথমে এগিয়ে আসলে যদি তখন মনের মাঝে জেগে ওঠা পরাজিত হবার টনটনে অনুভূতি, অহং বা দেমাগকে এই সুন্দরতম সম্পর্কতে হিসেবে নিয়ে আসেন তবে আপনি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই সম্পর্কটার গোটাটাই আপনার --জীবনসঙ্গীর ভালো থাকা আসলে আপনারই ভালো থাকা। তাই দু'জনের ভিন্নতাটুকুকে গ্রহণ করে নিন এবং অপরজনকে স্বস্তি দিতে একটু যদি স্যাক্রিফাইস করতেই হয়, তবে করে ফেলুন। দেখবেন এটুকুর কারণে আপনি যেই আনন্দ আর শান্তি উপভোগ করবেন তা আপনার ওটুকু কষ্টকে ভুলিয়ে আপনাকে অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি দিবে। সুন্দর দাম্পত্য জীবনটা রেডিমেড পাওয়া যায় না, তাকে তিলে তিলে গড়ে নিতে হয়। গড়ে ওঠা সেই শান্তির বাড়ির কারিগর কিন্তু মূলত আপনিই! জ্বি, আপনি এবং আপনারা দু'জন... <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-12196690061780568372014-05-13T22:41:00.000-07:002014-05-13T22:42:29.962-07:00রাগারাগি করে আমরা আমাদের পরিবারের শান্তিকে ধ্বংস করি<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর সাথে রাগারাগি করে আমরা আমাদের শান্তিকে ধ্বংস করি। রাগ হলে শয়তান আপনার উপরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ছোট্ট একটা ব্যাপারকে আপনার কাছে অনেক বড় মনে হবে, আপনি এমন সব কথা বলে বসবেন যা হয়ত ভুল করে ফেলা আপনার স্বামী বা স্ত্রীর অন্তরকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেবে। আপনার রাগের মাথায় বলে ফেলা কথা আপনার মাঝে দুরত্ব তৈরি করে দিবে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমিয়ে দিবে। এমন সব স্মৃতির জন্ম দিবে দু'জনের মনের মাঝে যা পরবর্তীতে বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধবে। তাই রাগ করবেন না। সমস্যা তৈরি হলে আলোচনা করুন। <br> <br>স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারলে শয়তান প্রচন্ড আনন্দিত হয়, সে এমন প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে যেন ছোট্ট ভুলকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী রাগারাগি করে পারস্পরিক অশান্তি তৈরি করে এবং ফলশ্রুতিতে যেন বড় বড় অন্যায় এবং পাপের জন্ম হবার সুযোগ তৈরি হয়। আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের সম্পর্ককে যাবতীয় অকল্যাণের হাত থেকে রক্ষা করেন। রাগ হলে কথা না বলে সংযত হোন। আপনার পছন্দ/অপছন্দ এবং ইগোর চেয়ে আপনাদের সম্পর্কটিকে মূল্য দিন। চিৎকার করবেন না, বাজে শব্দ ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন, রাগান্বিত হয়ে আপনি যা করবেন সবই অকল্যাণকর হবে। আল্লাহ আমাদের রাগ সংযত করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে অন্যায় ও অকল্যাণের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখুন। <br> <br></div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-63475722367176480542014-05-02T20:16:00.000-07:002014-05-02T20:17:00.553-07:00একটা সুখী দাম্পত্য জীবন খুব সহজ কাজ নয়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">একটা সুখী দাম্পত্য জীবন পাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। দু'টি ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন প্রাণ, ভিন্ন পরিবার, ভিন্ন মন হলেও কিছু মিল নিয়ে সংসার এগিয়ে চলে। সংসারে দু'জন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৃতীয়জন হলো শয়তান যে সবসময় সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাতে চায়, রাগিয়ে দিতে চায়, স্বামী বা স্ত্রীকে পাপকাজে নিমজ্জিত করে তাদের পবিত্র সম্পর্কে অপবিত্রতা প্রবেশ করাতে চায়। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে সাহায্য চাওয়া খুব প্রয়োজন। প্রতিদিন অনেকবার করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উত্তম যেন তিনি এমন স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান দান করেন যাদের দেখে আপনার হৃদয় শীতল হয়, চোখ জুড়িয়ে যায়, অন্তরে শান্তি অনুভব করবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নিজের ঈমানের বৃদ্ধির জন্য, সৎকাজের জন্য, হালাল রিযিকের জন্য। যেকোন কিছুর মাঝে সেরা জিনিসগুলো তো মূল্যবান ও কষ্টার্জিতই হয়, তাইনা?<br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-51075988177271161352014-05-01T00:42:00.000-07:002014-05-01T00:43:32.154-07:00সংসার জীবনে ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করে রাখতে হয়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">সংসার জীবনে ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করে রাখতে হয়, ঠিক যেমন সুঘ্রাণময় ফুলকে আপনি পানি দিয়ে আরো বেশি জীবন্ত করে রাখেন। দু'জন দু'জনকে জেনে-বুঝে তবেই তো সঙ্গী করেছিলেন। সেই মানুষটি আপনার জন্য তার সবটুকু নিয়ে সংসার বেঁধেছেন। ঘরে বাইরে যত রকম অভিজ্ঞতা হোক, হৃদয়ের প্রিয়তম কুঠুরিটা আপনার জন্যই তিনি বরাদ্দ রেখেছেন। সন্দেহ আর অভিমানটুকু তুলে রেখে বাসুন না হয় আরেকটু ভালো। আপনার ভালোবাসা আপনাকে ছোট করে দিবে না। আপনার ভালোবাসা তার কাছে আপনার ওজন কমিয়ে দিবে না। ভুলত্রুটিটুকু এড়িয়ে যদি আপনি তাকে আরো ভালোবাসেন, সেটা আপনাকে তার কাছে সম্মানিত এবং আরো প্রিয় করবে। আপনি ভালোবাসা পাওয়ার একটি পথ তৈরি করতে পারলেন...<br> <br>কী পাওয়া উচিত ছিলো সেই হিসেবের চেয়ে কী কী দেওয়া উচিত সেই হিসেব করলে সংসার জীবনটা অনেক বেশি মধুর হয়। আল্লাহকে খুশি করতে কষ্ট করলে তিনিই ইনশা আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। হৃদয়গুলোর মালিক তো কেবলই আল্লাহ, তাইনা?<br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-70723176211805565732014-04-30T22:15:00.004-07:002014-04-30T22:15:54.435-07:00পরস্পরের প্রতি চাওয়া ও ভালোবাসা নিয়ে একটা সুন্দর কিউট চিঠি! <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
এক সুন্দর দম্পতির পরস্পরের প্রতি চাওয়া ও ভালোবাসা নিয়ে একটা সুন্দর কিউট চিঠি! <3<br />
...<br />
<br />
তোমাকে জীবনের সাথে যেদিন থেকে বেঁধে নিয়েছি সঙ্গী করে, প্রতিদিন দোয়া করি--<br />
<br />
তুমি যেন সুস্থ থাকো, যেন শান্তি পাও তোমার জীবনে।<br />
আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাতী হবার যোগ্যতা দেন।<br />
আমি যেন তোমার দেখাশোনা ও সেবা করতে পারি।<br />
আমি যেন তোমার সহযোগীর দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি।<br />
আমি যেন তোমার হাসিমুখ থাকার কারণ হতে পারি।<br />
আমি যেন তোমার সাথে খারাপ আচরণ না করি।<br />
আমি যেন তোমার চোখের অশ্রু না ঝরাই।<br />
যেন দু'জন দু'জনার সাথে রাগ করে শয়তানকে খুশি না করি।<br />
আমি যেন তোমার সাথে অন্যায় না করি।<br />
আল্লাহ যেন আমাদের সুসন্তান দান করেন।<br />
আমাদের সন্তানেরা যেন দুনিয়ার জন্য কল্যাণস্বরূপ হয়।<br />
আমাদের সন্তানেরা যেন মু'মিন, মুত্তাকী ও মুজাহিদ হয়।<br />
আমরা যেন হায়াতান তাইয়্যেবা লাভ করি।<br />
আমরা যেন দু'জন দু'জনার ঈমান বৃদ্ধি হবার কারণ হই।<br />
আল্লাহ যেন জান্নাতেও আমাদেরকে একসাথে থাকার তাওফিক দেন।<br />
আল্লাহ যেন আমাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকেন।</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-61732344412967360162014-04-22T23:43:00.000-07:002014-04-22T23:44:07.584-07:00দাম্পত্য জীবনের খুব সুন্দর একটা মূহুর্ত<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">দাম্পত্য জীবনের খুব সুন্দর একটা মূহুর্ত হলো, যখন আপনাদের নীরবতাটুকুর মাঝেও আপনার জীবনসঙ্গীর অনেক কথা আপনি বুঝতে পারেন... সুবহানাল্লাহ!<br><br>যখন আপনার স্বামী/স্ত্রী কিছু মুখ ফুটে বলার আগেই আপনি বুঝে যান কী বলবে সে, সেই মূহুর্তটা খুব অসাধারণ, তাইনা? এমন কিছু ভালোবাসা আমরা খুঁজে পাই নিত্যদিনের নানান দায়িত্ব আর কাজের মাঝে। আল্লাহ আমাদের সংসারগুলোকে প্রশান্তির আবাস করে দিন। <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-72407080161101317342014-04-22T23:40:00.000-07:002014-04-22T23:41:20.978-07:00আপনার জীবনসঙ্গীকে আপনি ভালোবাসেন, এই কথাটা শেষ কবে বলেছেন?<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">আপনার জীবনসঙ্গীকে আপনি ভালোবাসেন, এই কথাটা শেষ কবে বলেছেন? ছোট্ট অভিমান, কিছু বিরক্তি কিংবা অপূর্ণতাকে পুঁজি করে তাকে আপনার ভালোবাসার কথা বলা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না। কে জানে, এমনো তো হতে পারে হয়ত আপনি তাকে "আমি তোমাকে ভালোবাসি" কথাটা বলার আরেকটা সুযোগ পাবেন না। ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার কথা বলুন, শুধু তার কাছ থেকে কিছু পেতে চেয়ে নয়, বরং বলুন আপনার নিজের জন্যই। আপনি যখন ভালোবাসবেন, তখন নিজেকে অভিমান, রাগ, ক্ষোভের কারাগার থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে পারবেন। আপনার ভালোবাসার কথা ও আবেগ আপনার কাছে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে। আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীকে দিনে অন্তত একবার বলুন যে তাকে আপনি ভালোবাসেন। ভালোবাসা এবং ভালোবাসার কথা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা আমাদেরকে মুক্তির প্রশান্তিময় অনুভূতি দেয়। <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-85160646938219717442014-04-22T05:29:00.001-07:002014-04-22T05:29:13.520-07:00দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার একটা উপায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
অমিলগুলোর দিকে তাকিয়ে অশান্তি করে নয়,<br />
পারস্পরিক মিলগুলো থেকে আনন্দ খুঁজে পাওয়া দাম্পত্য জীবনে সুখী হবার একটা উপায়...</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-23802451632774584962014-04-21T04:43:00.001-07:002014-04-21T04:43:57.662-07:00সম্পর্ক টিকে থাকে জটিল সময়ে ধৈর্য ও ভালোবাসায়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">একবার এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করা হলো তারা কীভাবে একসাথে ৬০ বছর কাটিয়েছিলেন। তারা উত্তর দিয়েছিলেন, আমরা যে সময়টাতে জন্মেছিলাম তখন কোন কিছুতে সমস্যা দেখা দিলে তার মেরামত করে সারিয়ে নিতাম, ছুঁড়ে ফেলে দিতাম না। <br> <br>আপনাদের সম্পর্কটি খেয়াল করুন। দেখবেন প্রতিদিনই হয়ত নিত্যনতুন কিছু সমস্যা আসবে। কিন্তু আল্লাহকে স্মরণ রেখে, তার কাছে সাহায্য চেয়ে বিষয়গুলো দু'জনে মিলে আলাপ করুন। ভালোবাসার এই সম্পর্কটিতে অপরজনের কাছে ছোট হবার মতন কিছু নেই কেননা সংসার আপনাদের দু'জনের মিলেই। আপনিই বরং আগে ক্ষমা চেয়ে নিন, তার প্রতি আপনার ব্যাকুলতার কথাটি বোঝান। আপনি ভালো থাকা মানে তিনি ভালো থাকা, তার ভালো থাকাও আপনার ভালো থাকা।<br> <br>সমস্যা হলে সমাধান করার কথা ভাবুন। দেখবেন ভালোবাসা আর আন্তরিকতা দিয়ে যেকোন পরিস্থিতিই সামাল দিতে পারবেন দু'জনের মাঝে। শয়তান খুবই খুশি হয় দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি তৈরি করতে পারলে। খেপে যাবেন না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, মাথা ঠান্ডা রাখুন। ভালোবাসা দিয়ে, ধৈর্য দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। দেখবেন ছোট ছোট সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠে আপনার স্বামী/স্ত্রীকে আপনি আরো বেশি ভালোবাসবেন। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোতে শান্তি দান করুন। <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-19993177368545220372014-04-20T02:43:00.000-07:002014-04-20T02:44:29.393-07:00সমস্যা কিন্তু কখনই তোমার এবং আমার মাঝে নয়<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">এক ভাই বলেছিলেন, আমার বিয়ের পরে একটা ব্ল্যাকবোর্ডে একদিকে আমার এবং আমার স্ত্রীর নাম এবং অন্যদিকে শয়তানের নাম লিখলাম। এরপর আমার স্ত্রীকে বললাম, "সবসময় মনে রাখবে, আমাদের মধ্যে যখনই কোন সমস্যা তৈরি হবে, সেটা কিন্তু আমাদের দু'জনের সাথে এইটার যুদ্ধ; কখনই তোমার এবং আমার মাঝে নয়।"<br> <br>[সংগৃহীত ও অনূদিত]<br></div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-32794621048957687392014-04-20T02:01:00.000-07:002014-04-20T02:02:02.677-07:00সংসারে ভালোবাসার বন্ধন<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">আপনি যখন আল্লাহকে খুশি রাখতে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে ভালোবাসবেন, তখন আপনি কিন্তু সে কেমন করে রেস্পন্স করছে আপনার কেয়ারগুলোর, আপনার ভালোবাসাটুকুর, আপনার আবেগ আর সচেনতনতাটুকুর -- সেটা হিসেব করবেন না। ভালোবাসা জিনিসটাই এমন যে তা কোন ফিডব্যাক দাবী করে না। রিপ্লাই আশা করলে সেটা তখন "বিনিময়" হয়ে যায়। আপনার প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসুন আপনার নিজের জন্যই। তবে এটা ঠিক, আল্লাহর জন্য যখন কাউকে ভালোবাসবেন, তখন আল্লাহ আপনার অন্তরে প্রশান্তি দিবেন। হয়ত তিনি আপনাদের হৃদয়ে এমন ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে দেবেন যা শতবর্ষ চেষ্টাতেও কারো তৈরি করা সম্ভব হয় না। <br> <br>মনে রাখবেন, ভালোবাসা সৃষ্টির মালিক আল্লাহ। তিনিই হৃদয়গুলোতে ভালোবাসার বীজ বপন করে দেন, অতঃপর তাকে বেড়ে ওঠান। ভালোবাসার বন্ধনগুলোর মাঝে আল্লাহ থাকুক কেন্দ্রবিন্দুতে। তাহলে খুব ভালো সময়টাতেও আপনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন, আবার টানাপোড়েন চলে আসলেও আপনি আঘাতে ও কষ্টে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে যাবেন না, আল্লাহর উপরেই নির্ভর করবেন। যিনি কঠিন সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখেন, তিনি কম ক্ষতিগ্রস্ত হন। ধৈর্যশীল মানুষরা জানেন এই সময়টা কেটে গেলেই তিনি আবার সব গুছিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন। আল্লাহ গাফুরুল ওয়াদুদ, তিনি প্রেমময় ও ক্ষমাশীল। আল্লাহ যেন আমাদের সংসারগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করেন। <br> </div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-75066866975553797362014-04-18T19:19:00.001-07:002014-04-18T19:19:59.896-07:00সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ২০ টিপস<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস জেনে নিন-<br><br>১) একে অপরকে জানিয়ে দিন যে আপনারা পরস্পরকে ভালোবাসেন।<br>২) একই সময়ে দু'জন একসাথে রেগে যাবেন না।<br> ৩) সমালোচনা যদি করতেই হয়, ভালোবাসা দিয়ে বলুন।<br>৪) পুরোনো ভুলগুলোকে তুলে আনবেন না।<br>৫) কোন তর্ক জিইয়ে রেখে ঘুমাতে যাবেন না, সমাধান করে নিন আগেই।<br>৬) একে অপরকে উপেক্ষা করার পরিবর্তে বরং গোটা দুনিয়াকে আগে উপেক্ষা করুন।<br> ৭) দিনে কমপক্ষে একবার একসাথে সালাত আদায় করুন।<br>৮) মনে রাখবেন, সকল সফল স্বামী বা স্ত্রীর পেছনে একজন শ্রান্ত পরিশ্রমী জীবনসঙ্গী থাকে যে সবকিছু ভুলে একটানা কাজ করে যায় অপরজনকে সচল ও সতেজ রাখতে।<br>৯) মনে রাখবেন, ঝগড়া করতে দুই জনের প্রয়োজন হয়।<br> ১০) আপনি যখন কোন ভুল করে ফেলবেন, তা স্বীকার করে নিন।<br>১১) দিনে অন্তত একবার আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর প্রশংসা করুন কিংবা তাকে ভালোবেসে দয়ামাখা গলায় কথা বলুন।<br>১২) আপনার স্বামী/স্ত্রী বিছানায় যাওয়ার পর আপনি বিছানায় যেতে ১০ মিনিটের বেশি বিলম্ব করবেন না।<br> ১৩) আপনার জীবনসঙ্গী যখন কিছু বলে, তা মন দিয়ে শুনুন।<br>১৪) মনে রাখবেন, আপনার স্বামী/স্ত্রী কিন্তু একটা ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ, মুভি, সিরিয়াল, ইউটিউব ভিডিওর চেয়ে বেশি মূল্যবান।<br>১৫) আপনার সঙ্গিনী/সঙ্গী যখন নতুন কোন পোশাক পরে তথবা তার চুল ভিন্নভাবে আঁচড়ায় তখন খেয়াল করুন।<br> ১৬) আপনাদের বিবাহবার্ষিকী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে স্মরণ রাখতে চেষ্টা করুন।<br>১৭) আপনাদের পক্ষ থেকে আপনার সঙ্গী কাউকে কোন উপহার দিলে বা কোন কাজ করে দিলে আপনার পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ দিন।<br>১৮) যিনি দেরিতে ঘুম থেকে উঠবেন, বিছানা গুছিয়ে রাখুন।<br> ১৯) আপনার স্বামী/স্ত্রীকে যদি ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দেখায় তবে তা লক্ষ্য করুন এবং তার জন্য কিছু করুন।<br>২০) আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীকে কখনো সমালোচনা করে আহত করবেন না এবং জনসমক্ষে কখনো তাকে অপমান করবেন না।<br><br>[রুকাইয়া ওয়ারিস মাকসুদের 'The Muslim Marriage Guide' বইটির ৬৫-৬৬ পৃষ্ঠার আলোচনার আলোকে রচিত]<br> <br># এরকম আরো কিছু টিপস পেতে চাইলে দেখুন: <a href="http://www.dampotto.blogspot.com">www.dampotto.blogspot.com</a></div></div> Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-29479646748170756492014-04-08T09:52:00.000-07:002015-07-11T20:15:19.734-07:00দাম্পত্য জীবনের প্রদর্শনী সোশাল নেটওয়ার্কে করবেন না<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
আপনার দাম্পত্য জীবনের সুখের প্রদর্শনী অনুগ্রহ করে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতন সোশাল ওয়েবসাইটে করবেন না। নিজেদের আনন্দের সময়ের ছবি আপলোড না করাই উত্তম। আপনার আনন্দ-ভালোলাগা-সুখকে নিজেদের মাঝেই রাখুন, দু'জনে মিলেই উপভোগ করুন। মনে রাখবেন, মানুষের বদনজর তখন কিন্তু আপনার দিকে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে। বদনজরের ব্যাপারটা কিন্তু সত্য। আশা করি আগ্রহ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হতে চান না...<br />
<br />
একইভাবে আপনার লাইফ পার্টনারের খারাপ বিষয়গুলো সরাসরি বা আকারে ইংগিতে ফেসবুকে-টুইটারে উল্লেখ করবেন না। শয়তান আপনার এই কাজটুকুকে কতভাবে যে টুইস্ট করে অন্যের মনে ঢুকিয়ে আপনার জীবনে একে বড় দুর্যোগে পরিণত হবার কারণ করতে পারে। সোশাল নেটওয়ার্কে দাম্পত্য বিষয়গুলো উল্লেখ করার আগে অনেকবার ভেবে নিন। দায়িত্বহীন কাজের ফল মানুষকে ভোগ করতেই হয়। </div>
</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-45867834963016600752014-03-21T19:24:00.004-07:002014-03-21T19:24:45.004-07:00অন্যদের সামনে স্ত্রীকে বা স্বামীকে অপমান করবেন না<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-family: georgia, serif;">অন্যদের সামনে স্ত্রীকে বা
স্বামীকে অপমান করবেন না। তার অসম্মান হয় এমন কথা সবার সামনে বলবেন না। মনে
রাখবেন, তিনি আপনার দ্বীনকে পূর্ণ করেছেন। তিনি আপনার সংসারের সহযোগী,
সহযাত্রী, বন্ধু। তার অসম্মান হলে বা সম্মানহানি হলে সেই কালিমা আপনার
গায়েও এসে লাগবে। <br /> <br />রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) স্ত্রীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তাদের
প্রতি আমরা হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করি তা শিখিয়েছেন।</span></div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-68684937978035602772014-03-21T19:24:00.001-07:002014-03-21T19:24:16.907-07:00ইগো বা অহং সংসারকে ধ্বংস করে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-family: georgia, serif;"> </span><span style="font-family: georgia, serif;">আপনার
স্বামী বা স্ত্রী হয়ত আপনার সাথে এমন কথা বলেছেন কিংবা আচরণ করেছেন যা
আপনার বেশ গায়ে লেগেছে, তবু যখন আপনি রাগ দেখিয়ে, জেদ প্রকাশ করে তাকে
পালটা আহত করছেন না -- এর অনেকগুলো কারণের একটি হলো, আপনাদের সম্পর্কটাকে
আপনি আপনার অহং বা ইগোর চাইতে উপরে স্থান দিচ্ছেন। <br /><br />অভিজ্ঞরা বলেন,
বেশিরভাগ দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটল দেখা দেয় মূলত সূক্ষ্ম কিছু অমিল আর
ঘটনাকে কেন্দ্রে করে যা বিবর্ধিত হতে হতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যার একটি
প্রধান কারণ অহংবোধ বা ইগো। <br /><br />সমাধানের আগ্রহ নয়, দু'জনার
সম্পর্কটাকে বড় করে দেখা নয় বরং যখন নিজেকেই বেশি বড় করে দেখা হয়, তখন
সম্পর্কে বিষ ঢুকে পড়ে। অহংবোধ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমস্যাগুলোর সমাধানের
আগ্রহটুকুও নষ্ট করে ফেলে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) আমাদেরকে অহংবোধ
থেকে মুক্তি দিন, জীবনসঙ্গীর প্রতি আন্তরিকভাবে কর্তব্য করে যাওয়া,
দু'জনে মিলে সংসারটিকে সুন্দর করে গড়ে তোলার ও নিজেদের মাঝে সহমর্মিতা
গড়ে তোলার তাওফিক দিন। </span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"></span><br />
<br /><span style="font-family: georgia, serif;">https://www.facebook.com/dampotto.life</span></div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-39669525484561969472014-03-21T19:18:00.000-07:002014-03-21T19:18:03.570-07:00সম্পর্ক ও তর্ক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
যারা নিজেদের সম্পর্ক ভেঙ্গেচুরে হলেও তর্কে জিততে চায় তারাই সবচাইতে বোকা ও অপরিণত মানুষ।<br /><br />যারা তর্কে হেরে হলেও নিজেদের সম্পর্ককে উপরে তুলে রাখে তারাই বুদ্ধিসম্পন্ন ও পরিণত মানুষ। <br /> <br />আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের এমন জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী দান করুন যারা
আমাদের চোখের জন্য শীতলতাকারী হবে, আমাদের প্রশান্তি আনয়নকারী হবে। আমিন। <br /><br /><a href="https://www.facebook.com/dampotto.life">https://www.facebook.com/dampotto.life</a></div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7772115261375717187.post-40235115533830005012014-03-21T19:17:00.000-07:002014-03-21T19:17:45.852-07:00শেয়ারিং<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
<div class="gmail_default">
<span style="font-family: georgia, serif;">জীবনের
অনেক বিষয়েই জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর উপরে নির্ভর করা, তার সাথে শেয়ার
করার ব্যাপারটা ভালো, সেটাই স্বাভাবিক। যখন আপনি আঘাতগ্রস্ত, আপনার হৃদয়
ভারাক্রান্ত, আপনি একটু দ্বিধায় আছেন, বিপদে আছেন -- আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে
কথাগুলো খুলে বলা আপনার ভারকে হালকা করবে, এটাও ঠিক। কিন্তু সত্যি কথা
হলো, সমস্ত ক্ষত, ব্যথা, বিপদ, যন্ত্রণা, অসহায়ত্ব, অশান্তি থেকে মানুষকে
মুক্ত করার একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার হাতেই। জীবনসঙ্গী
আপনার সাথে থাকবেন, আপনাকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিতে পারবেন, আপনার ভালোর
জন্য প্রাণভরা চাইতে পারবেন ঠিকই -- কিন্তু কল্যাণ ঘটানোর, উন্নতি আর
মুক্তি দেওয়ার মালিক একমাত্র আমাদের রব, আমাদের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা'আলা... </span><br /> </div>
<div class="gmail_default">
<span style="font-family: georgia, serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default">
<span style="font-family: georgia, serif;"><a href="http://facebook.com/dampotto.life">http://facebook.com/dampotto.life</a></span></div>
</div>
</div>
Abdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.com0